রাফাল বিধ্বংসকারী পাকিস্তান বিমানবাহিনীর চৌকশ পাইলট আয়েশা ফারুক

আয়েশা ফারুক একজন পাকিস্তানি নারী চৌকশ ফাইটার পাইলট। তিনি আকাশ জয়ী এক বাজপাখি, বর্তমানে (২০২৫) সালে পাক-ভারত যুদ্ধে তার নাম উঠে এসেছে। তিনি একাই ভারতের অহংকার চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছেন। তাইতো আয়েশা ফারুক এখন শুধু পাকিস্তান নই পুরো বিশ্ব সামরিক ইতিহাসে এক অনন্য নাম।


৬ মে রাত গভীর, চারিদিকে নিস্তব্ধতা. হঠাৎ কালো অন্ধকার আকাশে বিকট শব্দ পাকিস্তানি জেট পাইলট এর কাসে ধরাশায় ভারতের অত্যাধুনিক রাফাল। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো ভারতের অহংকার রাফাল, মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ ৮.৭ সেকেন্ডে ধ্বংস ও ৪ সেকেন্ডেই নিশ্চিহ্ন। এ যেন এক রূপকথার বাজপাখির গল্প। আয়েশা একজন নারী হয়ে তা বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। এক সমুদ্র সাহস ও মনোবল নিয়ে তিনি ভরতের মত পরাশক্তির সাথে একাই লড়াই করেছেন।

সূচীপত্রঃ 


আয়েশা ফারুকের জন্ম ও ছোটবেলাঃ

আয়েশার জন্ম পাঞ্জাব এর বাহাওয়ালপুর জেলার হাসিলপুর। তার বয়স যখন ৩ বছর তখন তিনি তার বাবাকে হারান। কিন্তু তার মা তাকে সেই প্রতিকূল পরিবেশেই সাহসিকতার সাথেই আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসাবে তাকে গড়ে তলেন। আত্মীয়স্বজন,পরিবার ও সমাজের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি সিদ্ধান্ত নেন- তিনি একজন সাহসী ফাইটার পাইলট হবেন।


আয়েশার সাহসী পথ চলাঃ

তার পথ চলা মোটেও সহজ ছিল না। নানান প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তার এই পথচলা। পাকিস্তানের ধর্মভীরু সমাজ ও পুরুষপ্রধান পেশা হিসাবে পরিচিত বিমানবাহিনীতে প্রবেশ মোটেও সহজ ছিলো না। নানান প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তিনি ফাইটার একাডেমীতে ভর্তি হন। তিনি বলেন, 'শুরুর দিকে অনেকেই ভাবত আমি হয়তো পারব না। কিন্তু অদের সন্দেহই আমাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে।'

কঠিন প্রশিক্ষণ ও অধ্যবসায়ঃ

আয়েশার ফাইটার পাইলট হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে কঠিন ত্যাগ ও প্রশিক্ষন, রয়েছে অধ্যবসায়। তিনি ১৪-১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম, মানসিক এবং শারীরিক চাপ সহ্য ও প্রতিরোধ করেই হয়ে ওঠেন দক্ষ অপ্রতিরোধ্য ফাইটার পাইলট। তিনি নিজেকে প্রমান করতে কখনো পিচপা হননি। তিনি ছিলেন সাহসী হার না মানা এক নারী।
তিনি বলেন, 'প্রতিদিন ভোর ৪টায় দিনের শুরু হয়। ফ্লাইট,ব্রিফিং,প্রশিক্ষণ এবং বিশ্লেষণ মিলিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কাজ।' এভাবেই তিনি ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রম এর মাধ্যমেই যে যেকোনো সফলতা অর্জন করা সম্ভব তিনি তা প্রমান করেছেন।

সাহসী ও সংগ্রামী নারীর প্রতীকঃ

শেষ দশ বছরে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। যার মধ্যে শুধু ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন, তার মধ্যে আয়েশা ফারুক দক্ষ ও শ্রেষ্ঠ একজন। ২০২৫ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে মোট ৩১৬ জন কাজ করছে। আর ৫ বছর আগে ছিল মাত্র ১০০ জন।
মুসাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেছেন,'আমি আলাদা কিছু ভাবি না। আমরা সবাই এক। একই প্রশিক্ষণ, একই চ্যালেঞ্জ। আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবনহ সন্ত্রাসবাদের হুমকির কারনে আমাদের সব সময় প্রস্তত থাকতে হয়।





কর্ম জীবন ও বর্তমান অবস্থাঃ

২০১৩ সালে চূড়ান্ত পরীক্ষায় শীর্ষইস্থান অর্জনের পর তিনি প্রথম নারী জেট পাইলট হন। আয়েশা ফারুক এখন ২০তম স্কোয়াড্রনে তার ২৪ জন পুরুষ সহকর্মীর সাথে চীনা চেংডু জে-৭ ফাইটার জেটে মিশন পরিচালনা করেন। ৬ জন নারী পাইলট এর মধ্যে তিনি একজন যিনি বিমান চালানোর যোগ্য।




২০০০ সাল থেকে  (PAF) -এ পাইলট হিসাবে যোগদান করেন।

আয়েশা ফারুক এর বর্তমান ক্যারিয়ার:-

আয়েশা এখন পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট,স্কোয়াড্রন লিডার হিসাবে কর্মরত আছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিখবো আমরা এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url